পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে (বাংলাদেশ সময় ৯টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৫টা (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত।

পাকিস্তানের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হয়। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে বুধবারই সংশ্লিষ্ট এলাকায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ ছোট-বড় প্রায় ১৪টি রাজনৈতিক দল। তবে নির্বাচনের মাঠে নামতে দেয়া হয়নি ইমারন খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই)। কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ইমরান। আর এসব মামলার কারণে তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেড়ে নেয়া হয়েছে তার দলের প্রতীক ব্যাটও।

তবে পিটিআই-এর প্রতীক কেড়ে নেয়ায় দলটির প্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়ছেন। দেশটির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দলের।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। যার প্রায় অর্ধেক ৩৫ বছরের কম বয়সী। বিপুল সংখ্যক জনগণের ভোট গ্রহণে পাকিস্তানজুড়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কেন্দ্রকে অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে পাকিস্তানজুড়ে মোবাইল পরিবেষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।